নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ অবতরণের সময় ঝাঁকুনির মধ্যে এক কেবিন ক্রুর পা ভেঙেছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজে এ ঘটনা ঘটে বলে বিমানের জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক বোসরা ইসলাম জানিয়েছেন।
ফ্লাইটটি নিরাপদে অবতরণ করেছে জানিয়ে বোসরা ইসলাম বলেন, “ঢাকা থেকে নেপালের কাঠমান্ডুর উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া বিজি-৩৭৩ নম্বর ফ্লাইট ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণের মুহূর্তে পাইলট সবাইকে যার যার পজিশনে বসতে বলেন। সেসময় বসতে গিয়ে ‘অসাবধানতাবশত’ পড়ে তার পা ভেঙে যায়।”
তবে ওই ফ্লাইটের যাত্রী পরিচয় দেওয়া সাবিনা ইয়াসমিন সুরভী নামে একজন ফেইসবুকে লিখেছেন, অবতরণের সময় ঝাঁকুনিতে পড়ে ওই কেবিন ক্রু আহত হন।
ঘটনার বর্ণনায় তিনি লেখেন, “জীবনের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ফ্লাইট ছিল আজকের ঢাকা টু ত্রিভুবন (নেপাল) ফ্লাইট।…এই পরিমাণ ফোর্স ল্যান্ডিং, জাম্পিং হচ্ছিল আর ফ্লাইট ঝাঁকাঝাঁকি করছিল যে, প্রত্যেকটা যাত্রী ভেবেছি এই এখনই আমাদের জীবনের শেষ দিন।
“শুধু আপনজনদের চেহারা ভাসছিল আর তওবা করছিলাম সবাই। ঠিক ওই মুহূর্তে একজন যাত্রীকে সান্ত্বনা দিতে বা সামলাতে এক কেবিন ক্রু আসল। সে অর্ধেক বোর্ডে এসেই ফ্লাইটের জাম্পিংয়ে উল্টে পড়ে নির্মমভাবে আহত হয়। আইলসের ওপর পড়ে চিৎকার করছিল, কিন্তু কেউ গিয়ে ধরার অবস্থায় ছিল না।”
ওই যাত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিমানের মহাব্যবস্থাপক বোসরা ইসলাম বিষয়টিকে ‘প্রপাগান্ডা’ হিসেবে বর্ণনা করেন।