ইমপোর্ট কার্গো ভিলেজ ও বিমানবন্দরে দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা কার্গো দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে খালি করার নির্দেশ দিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
শনিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন।
এসময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার কমডোর মো. সাদিকুর রহমান চৌধুরী, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম ভূঞা, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয়, বেবিচক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, যেসব কার্গো আমদানির পর দীর্ঘদিন ধরে বিমানবন্দরে পড়ে আছে তা আইন ও যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নিলামের মাধ্যমে দ্রুত ডিসপোজ অব করতে হবে।
ফারুক খান বলেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, ঢাকা কাস্টমস হাউস, বিমান, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টসকে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করে আমদানি করা পণ্যের দ্রুততার সঙ্গে খালাস নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে কারো অবহেলা সহ্য করা হবে না। কোনো আমদানিকারক আমদানি করা পণ্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খালাস না করালে দ্রুত আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে হবে।
এছাড়াও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমদানি করা কার্গো খালাস নিশ্চিতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে বিভিন্ন অংশীজনের সমন্বয়ে প্রতি মাসে বৈঠকের মাধ্যমে উদ্ভূত সমস্যা নিরসনের নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
বৈঠক শেষে মন্ত্রী বিমানবন্দরের ব্যাগেজ এরিয়া, লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড শাখা এবং ইমপোর্ট কার্গো ভিলেজ পরিদর্শন করেন।