কলকাতা: উড্ডয়নের পরপরই ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে ভারতে আকাশপথে সেবাদানকারী সংস্থা ইন্ডিগোর একটি ফ্লাইটের। আর এরই জেরে উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পরই বেঙ্গালুরুগামী ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়।
শেষ পর্যন্ত বড় দুর্ঘটনার কবল থেকে বেঁচে যান ১৫০ জনের বেশি যাত্রী। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার বিমানবন্দরে।
শনিবার (৩১ আগস্ট) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রে খবর, বেঙ্গালুরুগামী ইন্ডিগো ৬ই ৫৭৩ ফ্লাইটটি ১৬৩ জন যাত্রী এবং ৬ জন ক্রু নিয়ে শুক্রবার রাত সাড়ে দশটায় উড্ডয়ন করে। কিন্তু কলকাতা বিমানবন্দর ছেড়ে আকাশে উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই পাইলট দেখেন ফ্লাইটটির বামদিকের ইঞ্জিন ঠিকমতো কাজ করছে না।
সংবাদমাধ্যম বলছে, সমস্যা বাড়তেই তিনি দ্রুত যোগাযোগ করেন কলকাতা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার আগেই তিনি জরুরি ভিত্তিতে অবতরণের অনুমতি চান। যদিও অনুমতি দিতে দেরি করেনি ট্রাফিক কন্ট্রোল।
অবতরণের গ্রিন সিগন্যাল পেয়েই আর দেরি করেননি পাইলট। পরে রাত ১০টা ৫৩ মিনিটে ফ্লাইটটি কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে নিরাপদে অবতরণ করে। দ্রুত যাত্রীদের ফ্লাইট থেকে বের করে আনা হয়। ছুটে আসেন বিমানবন্দরের ইঞ্জিনয়াররাও।
তবে এই ঘটনায় ফ্লাইটটিতে কোনও আগুন বা স্পার্কের খবর পাওয়া যায়নি বলে শনিবার ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রাত ১০টা ৩৯ মিনিটে বিমানবন্দরে পূর্ণ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয় এবং রাত ১১টা ৮ মিনিটে সেটি প্রত্যাহার করা হয়।
মুখপাত্র বলেছেন, এনএসসিবিআই বিমানবন্দরের উভয় রানওয়ে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল যাতে ফ্লাইটটিকে নিরাপদে অবতরণ করানো যায়। তিনি বলেন, ‘উড়োজাহাজের বাম পাশের ইঞ্জিনটি উড্ডয়নের পরে বিকল হয়ে পড়ায় ফ্লাইটটিকে কলকাতায় ফিরে আসতে হয় বলে জানা গেছে।’
ইন্ডিগো এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘কারিগরি সমস্যার কারণে’ উড্ডয়নের পরপরই ফ্লাইটটি বিমানবন্দরে ফিরে আসে। এতে বলা হয়েছে, ‘পাইলট প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কলকাতায় ফিরে আসেন।’
ইন্ডিগো আরও বলেছে, ‘যাত্রীদের নাস্তা পরিবেশন করা হয়েছিল এবং ফ্লাইট পরিচালনা করার জন্য বিকল্প ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। যাত্রীদের অসুবিধার জন্য আমরা দুঃখিত।’