বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পত্র-পত্রিকা ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে তথ্য, মতামত ও বক্তব্য প্রদানের বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কেউ যদি এ ধরনের কাজ করে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এক কর্মকর্তা জানান, বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিমানের নানা দুর্নীতি নিয়ে নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশের ঘটনা ঘটছে। এতে বিমানের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিয়মিত বক্তব্য দিয়েছেন। অনেকে বিমানের অভ্যন্তরীণ তথ্য ফাঁস করছেন। বিধি অনুযায়ী বিমানের জনসংযোগ শাখা অথবা বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ছাড়া কেউ মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে পারার কথা নয়। এই দুই পক্ষ ছাড়া বিমানের বাকি সবাইকে মিডিয়ার সঙ্গে কথা না বলার জন্য একাধিকবার মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি তাদের এ বিষয়ে একটি নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
লিখিত নোটিশটি দেন বিমানের প্রশাসন ও মানবসম্পদ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক এ বি এম রওশন কবীর।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল জারি করা নোটিশে বলা হয়েছে, প্রশাসনিক বিজ্ঞপ্তি অমান্য করে বিমানের কিছু কিছু কর্মকর্তা/কর্মচারী বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে বিমান সম্পর্কিত বিভিন্ন রকম তথ্য, মতামত অথবা বক্তব্য প্রদান করছেন। এর ফলে বিমানের নিজস্ব প্রচার-প্রচারণার শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হচ্ছে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে জাতীয় পতাকাবাহী এই রাষ্ট্রীয় এয়ারলাইন্সের ভাবমূর্তি, মর্যাদা ও সম্মান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ অবস্থায় কর্মকর্তাদের আচরণবিধি সংক্রান্ত প্রশাসনিক বিজ্ঞপ্তি ও তথ্য অধিকার আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা অনুসরণের জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হলো।
বিমানের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে জানান, রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সের অভ্যন্তরীণ তথ্য ফাঁস ও তা মিডিয়াতে সরবরাহের কারণে ইতোমধ্যে অনেককে চিহ্নিত করে মৌখিক ও লিখিতভাবে সতর্ক করা হয়েছে।