বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ১২তম বারের মত ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (আইএটিএ) কর্তৃক পরিচালিত আইএটিএ অপারেশনাল সেফটি অডিট (আইওএসএ) সম্পন্নের মাধ্যমে সনদ হালনাগাদ করেছে। এটি ২০২৬ সালের ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিমান জানায়, গত ১-৫ সেপ্টেম্বর আইএটিএ কর্তৃক স্বীকৃত ইউএসএ এর অডিট ফার্ম আর্গোস প্রোস কর্তৃক বিমানের অপারেশনাল কার্যক্রমের উপর অডিট করা হয়। প্রতি ২ বছর পরপর অডিটের মাধ্যমে উক্ত সনদ নবায়ন করা হয়। এই অডিট কার্যক্রমটি এয়ারলাইন্সের অপারেশনাল কার্যক্রম ও সার্বিক ব্যবস্থাপনার বিষয়টি মূল্যায়নে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত একটি প্রক্রিয়া।
আইএটিএ এর সদস্য হতে হলে বা সদস্যপদ ধরে রাখতে আইওএসএ সনদ হালনাগাদ রাখা জরুরি। অনেক ক্ষেত্রে বিদেশি এয়ারলাইন্সের সঙ্গে কোডশেয়ার করতে বা কিছু উন্নত দেশে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পেতেও এটি প্রয়োজন হয়।
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. শাফিকুর রহমান বলেন, নিরাপত্তা প্রক্রিয়ার আধুনিকায়ন ও এভিয়েশন শিল্পের অগ্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা আমাদের দৈনন্দিন কার্যক্রমেরই অংশ।
তিনি বলেন, আইওএসএ নিবন্ধনকে জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমানের অপারেশনাল নিরাপত্তা, সুরক্ষা এবং বৈশ্বিক এভিয়েশন নীতিমালা অনুসরণের একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনার সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়সমূহ, যেমন : ফ্লাইট পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ, নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা সম্পর্কিত নীতি, প্রক্রিয়া এবং পদ্ধতিগুলোর একটি ব্যাপক পর্যালোচনা এবং মূল্যায়নই হচ্ছে IOSA অডিটের অন্তর্ভুক্ত বিষয়। অডিট দল ফ্লাইট অপারেশন, এয়ারক্রাফ্ট ইঞ্জিনিয়ারিং এবং রক্ষণাবেক্ষণ, ফ্লাইট ছাড়া, কেবিন অপারেশন, কার্গো অপারেশন, এভিয়েশন সিকিউরিটি, গ্রাউন্ড অপারেশন, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং এইচআর, ফ্লাইট সেফটি, সেফটি ও কোয়ালিটি, আইটিসহ বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক বিভাগের কার্যক্রমসমূহ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করেছে।
শাফিকুর রহমান আরও বলেন, আইওএসএ নিবন্ধন বিমানের কার্যক্রম সম্পর্কে সম্মানিত যাত্রীবৃন্দের মনে ইতিবাচক ধারণা সৃষ্টি করবে ও গ্রাহকের আস্থা তৈরি করবে। নতুন নতুন রুটে প্রবেশাধিকার এবং ব্যবসায়িক অংশীদারিত্ব বজায় রাখতে সহায়তা করবে।