ঢাকাঃ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এয়ারপোর্ট ইমার্জেন্সি এক্সারসাইজ-২০২৪ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ মহড়ার মূল উদ্দেশ্য ছিল কোন এয়ারক্রাফটে বোমা বা বোমা সদৃশ বস্তু পাওয়া গেলে যাত্রীদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া এবং বোমা নিষ্ক্রিয় বা উদ্ধার করার প্রক্রিয়া অনুশীলন করা।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় এ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
মুহাম্মাদ কাউছার মাহমুদ (সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এর বিধি অনুযায়ী প্রতিটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হাইজ্যাক, অগ্নি নিরাপত্তা, বোমা হামলাসহ বিভিন্ন ঝুঁকি মোকাবিলার সক্ষমতা যাচাই ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি দুই বছর অন্তর এ ধরনের মহড়া আয়োজন করা হয়।
এ মহড়ায় বেবিচক, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসার, ফায়ার সার্ভিস, এপিবিএন, ডিএমপি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, জাহানআরা হাসপাতাল, র্যাব, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস-বাংলা এবং নভোএয়ারসহ বিভিন্ন সংস্থা অংশ নেয়।
মহড়ার দৃশ্যে দেখা যায়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে একটি বার্তা আসে, যেখানে উল্লেখ করা হয় যে এয়ারক্রাফ্টে বোমাজাতীয় বস্তু রয়েছে। অতঃপর এই বার্তা বিভিন্ন সংস্থাকে দ্রুততার সাথে জানানো হয়। এর পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জরুরি প্রতিরোধ প্রক্রিয়া শুরু করে। এরপর বিভিন্ন সংস্থার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্যের অংশগ্রহণে অল্পসময়ের মধ্যে ওই এয়ারক্রাফট থেকে বোম ডিসপোজাল ইউনিট বোমা সদৃশ বস্তুটি উদ্ধার করে এবং নিষ্ক্রিয় করে।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এর চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতে সকল অংশীজনকে এই মহড়ায় অংশগ্রহণের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এভসেক সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে আইসিএও (ICAO)-এর নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন ও মহড়া বাস্তবায়ন করে আসছেন। প্রস্তুতি ছাড়া কোনো কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন প্রশিক্ষণ এবং নিয়মিত মহড়া।
তিনি আরও বলেন, আইকাও এর নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে মহড়ার মাধ্যমে নিজেদের সক্ষমতা নিশ্চিত করতে হবে। আজকের মহড়ায় অল্পসময়ের মধ্যেই কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে, যা অত্যন্ত ইতিবাচক। সবাই সম্মিলিতভাবে দ্রুত কাজ করায় পরিস্থিতি সফলভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে। তিনি অংশীজনদের প্রস্তুতি ও দক্ষতা দেখে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আজকের মহড়ায় অংশগ্রহণকারী প্রতিটি সংস্থার পারফরম্যান্স অত্যন্ত প্রশংসনীয়। পরিশেষে প্রধান অতিথি সকলকে জাতীয় স্বার্থে আরও নিবেদিত হয়ে কাজ করার আহবান জানান।
এছাড়া এতে আরও উপস্থিত ছিলেন- বেবিচক, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনসহ মহড়ায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন সংস্থার ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাবৃন্দ।