বাকু, আজারবাইজান : কাজাখস্তানের আকতাউ শহরের কাছে আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
উড়োজাহাজটি আজারবাইজানের রাজধানী বাকু থেকে রাশিয়ার চেচনিয়ার গ্রোজনি শহরের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। এতে ৬২ জন যাত্রী ও ৫ জন ক্রু ছিলেন।
কাজাখস্তান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর ২৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
উড়োজাহাজটি আজারবাইজান এয়ারলাইনসের এমব্রেয়ার ১৯০ মডেলের জে২-৮২৪৩ ফ্লাইট। রাশিয়ার গ্রোজনি শহরে ঘন কুয়াশার কারণে উড়োজাহাজটিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দেশটির জরুরি পরিষেবা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সকালে ৬৭ আরোহী নিয়ে উড্ডয়ন করা উড়োজাহাজটিতে হঠাৎ আগুন ধরে যায়।
রাশিয়ার উড়োজাহাজ চলাচল পর্যবেক্ষণ সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, পাখির ঝাঁকের সঙ্গে ধাক্কার পর পাইলট জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
আকতাউ শহরটি আজারবাইজান ও রাশিয়া থেকে কাস্পিয়ান সাগরের বিপরীত তীরে অবস্থিত। কাজাখস্তানের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কী ঘটেছে তা তদন্তের জন্য একটি সরকারি কমিশন গঠন করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ তার রাশিয়া সফর সংক্ষিপ্ত করেছেন।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, দুর্ভাগ্যবশত আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট আলিয়েভ সেন্ট পিটার্সবার্গ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন (যেখানে একটি শীর্ষ সম্মেলন ছিল)। পুতিন এরই মধ্যে তাকে ফোন করেছেন এবং উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় সমবেদনা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এই উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় যারা তাদের স্বজন ও বন্ধুদের হারিয়েছেন তাদের প্রতি আমরা গভীর সহানুভূতি জানাই এবং যারা বেঁচে আছেন তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।
ক্রেমলিন সমর্থিত চেচনিয়ার নেতা রমজান কাদিরভ এক বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করে বলেন, যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তাদের অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর। তিনিও আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।