
সিউল : চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রায় ১১ লাখ ২০ হাজার পর্যটক দেশটিতে ভ্রমণ করেছেন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি।
২০২৪ সালের শেষ দিকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল হঠাৎ সামরিক আইন জারি করলে দেশটিতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়। তবে পর্যটন খাতে এর প্রভাব ততটা ব্যাপক হয়নি।
কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় পর্যটন সংস্থার তথ্যানুসারে, পর্যটনে সর্বশেষ রেকর্ডটি হয়েছিল মহামারীর আগের বছর, অর্থাৎ ২০১৯ সালে। ওই বছরের জানুয়ারিতে পর্যটক ছিল ১১ লাখ।
মহামারীর কারণে কয়েক বছর পর্যটক চলাচল বন্ধ থাকার পর ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় দর্শনার্থী বেড়ে দাঁড়ায় ৮ লাখ ৮১ হাজার। সামরিক আইন ঘোষণার ফলে পর্যটন খাতে যে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে, তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে কোরিয়ার পর্যটন সংস্থা। পর্যটক ধরে রাখতে এ বছরের বাজেটে অগ্রাধিকার দেয়ার পরিকল্পনা করেছে প্রশাসন।
বছরের প্রথমার্ধে আয়োজন করা হবে বেশ কয়েকটি রোড শো। তবে সাম্প্রতিক সময়ের চীন-যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক যুদ্ধকে কোরিয়ার পর্যটন খাতের জন্য হুমকি হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। পাল্টাপাল্টি শুল্কের ফলে চীনাদের জীবনযাত্রার খরচ বাড়বে। এতে প্রভাব পড়তে পারে কোরিয়ার পর্যটন খাতে। কারণ কোরিয়ায় সবচেয়ে বেশি পর্যটক আসে চীন থেকে।
জানুয়ারির আগত পর্যটকদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশই ছিল চীনের নাগরিক, সংখ্যায় প্রায় ৩ লাখ ৬৪ হাজার। নেটফ্লিক্স রিয়েলিটি কুকিং শো ‘কুলিনারি ক্লাস ওয়ার্স’ কোরিয়াকে একটি গ্যাস্ট্রোনমিক গন্তব্য হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। আর এ সুবিধাই কাজে লাগাতে চাচ্ছে কোরিয়ান পর্যটন সংস্থা।
অন্যান্য দেশের পর্যটক টানতে থিমযুক্ত ভ্রমণের ওপর জোর দিচ্ছে তারা। দেশটির খাবার ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে বিশেষ ভ্রমণ প্যাকেজ চালুর পরিকল্পনা চলছে। বিষয়টি সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও সিঙ্গাপুরের প্রভাবশালী ট্যুর সংস্থাগুলোর সঙ্গে চলছে আলোচনা।