
ঢাকাঃ আকাশপথে অভ্যন্তরীণ রুটে টিকিটের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে, ঈদের সময়ে এই চাহিদা আরও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে। সাধারণত সড়কপথে ভোগান্তি এড়াতে অনেকেই এখন আকাশপথকেই বেছে নিচ্ছেন।
এয়ারলাইনসগুলোর তথ্যমতে, ঈদের সময় সৈয়দপুর, যশোর এবং ঈদের পর কক্সবাজার রুটে টিকিটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। ইতোমধ্যে এসব রুটের ৮০ শতাংশের বেশি টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। তবে এবারের টিকিট চাহিদা গত বছরের তুলনায় কম বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বাড়তি চাহিদা সামাল দিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ঈদের ছুটিকে সামনে রেখে ১৩টি অতিরিক্ত ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২৫ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ঢাকা-রাজশাহী, ঢাকা-সৈয়দপুর এবং ঢাকা-বরিশাল রুটে এসব ফ্লাইট পরিচালিত হবে। এ ছাড়া এয়ার অ্যাস্ট্রা সৈয়দপুর ও কক্সবাজার রুটে অতিরিক্ত ফ্লাইট যুক্ত করেছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) বোসরা ইসলাম জানান, ঈদের সময় অনেকেই সড়কপথের ভোগান্তি এড়াতে আকাশপথ বেছে নেন। যাত্রীদের চাহিদার ভিত্তিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ১৩টি বিশেষ ফ্লাইট চালু করেছে। যাত্রীরা বিমানের সেলস সেন্টার, ওয়েবসাইট, কল সেন্টার বা অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্সি থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে পারছেন।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম জানান, তাদের নিয়মিত ফ্লাইট সংখ্যা বেশি থাকায় ঈদে নতুন করে কোনো ফ্লাইট বাড়ানো হয়নি। যমুনা রেলসেতু ও সড়ক যোগাযোগ উন্নতির কারণে অনেক যাত্রী সড়কপথ বেছে নিচ্ছেন। ফলে ঢাকা-বরিশাল রুটে বিমান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।
নভোএয়ারের হেড অব মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস মেজবাউল ইসলাম বলেন, ঈদে সৈয়দপুর, যশোর ও রাজশাহীর টিকিটের চাহিদা বেশি থাকে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই সব টিকিট বিক্রি হয়ে যাবে।
এয়ার অ্যাস্ট্রার উপ-ব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) সাকিব হাসান শুভ জানান, ঈদযাত্রীদের কথা মাথায় রেখে এয়ার অ্যাস্ট্রা সৈয়দপুর রুটে ২টি এবং ঈদের পর কক্সবাজার রুটে ৩টি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করবে। বর্তমানে ঈদের আগের ৮০ শতাংশ এবং ঈদের পর কক্সবাজার রুটের ৯০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।