
ঢাকাঃ আফ্রিকায় এয়ার ট্যাক্সি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে নিউইয়র্কভিত্তিক আর্চার এভিয়েশনের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে অঞ্চলটির বৃহত্তম উড়োজাহাজ সংস্থা ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনস।
বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন এয়ারলাইনস কোম্পানি ভবিষ্যৎ পরিবহন প্রযুক্তি গ্রহণে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এরই প্রতিফলন দেখা গেল নতুন চুক্তিতে। যার আওতায় আর্চারের পুরোপুরি বিদ্যুচ্চালিত ‘মিডনাইট’ মডেলের কিছু আকাশযান পরিচালনা করবে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনস।
চুক্তি অনুযায়ী ইথিওপিয়ায় মিডনাইট পরিচালনার শুরুতে একটি বিশেষ দল পাঠাবে আর্চার। এতে থাকবেন পাইলট, টেকনিশিয়ান ও ইঞ্জিনিয়ার। আফ্রিকার ইকো-ট্যুরিজমসহ বিভিন্ন খাতে এয়ার ট্র্যাক্সি ব্যবহারের সম্ভাবনা যাচাই করা হবে চুক্তির আওতায়। তবে এখনো পরিষেবা শুরুর সময়সীমা নির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি।
মিডনাইট আর্চারের ‘লঞ্চ এডিশন’ প্রোগ্রামের অংশ, যার মূল্য প্রায় ৩ কোটি ডলার পর্যন্ত হতে পারে। এ এয়ার ট্যাক্সিতে একসঙ্গে চারজন যাত্রী বসতে পারে এবং খুব অল্প সময় চার্জ দিয়েই একের পর এক ফ্লাইট পরিচালনায় সক্ষম। আর্চারের লঞ্চ এডিশনের দ্বিতীয় গ্রাহক হতে যাচ্ছে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনস। এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) আবুধাবি এভিয়েশন একই ধরনের চুক্তি করেছে।
এর আওতায় চলতি বছর থেকেই আর্চারের মিডনাইট বিশ্বের প্রথম ই-ভিটিওএল বা উল্লম্বভাবে অবতরণে সক্ষম বাহন হিসেবে ব্যবহার হবে।
এ বিষয়ে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনসের গ্রুপ চিফ এক্সিকিউটিভ মেসফিন তাসেও বলেন, ‘আর্চার এভিয়েশনের সঙ্গে আমাদের অংশীদারত্ব ইথিওপিয়ায় অত্যাধুনিক ই-ভিটিওএল প্রযুক্তি নিয়ে আসার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আমরা একসঙ্গে আঞ্চলিক ভ্রমণকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত এবং পরিবেশবান্ধব, কার্যকর পরিবহন ব্যবস্থার সুযোগ তৈরি করতে চাই।’ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ম্যাকেঞ্জির মতে, বৈশ্বিক বিদ্যুচ্চালিত উড়ন্ত যানের বাজার ২০২৮ সালের মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৭৮০ কোটি ডলারে পৌঁছবে।
২০৩০ সালের মধ্যে পুরোপুরি বিদ্যুচ্চালিত পরিবহনের চাহিদা ছয় গুণ বাড়বে এবং প্রতি বছর প্রায় চার কোটি ইউনিট বিক্রি হবে।