ঢাকাঃ কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতায় সারাদেশের মতো স্থবির হয়ে পড়েছিল হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। বেশ কয়েকদিন ব্যাহত হয়েছে বিমানবন্দরের কার্যক্রম। তবে বর্তমানে বিমানবন্দরের সার্বিক পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ করছেন স্বাভাবিক গতিতে। স্বস্তি ফিরেছে যাত্রীদের মাঝেও। বিমানবন্দরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দায়িত্ব পালন করছে আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
এয়ারলাইন্স কর্মকর্তারা জানান, কয়েকদিন আন্দোলন আর কারফিউর কারণে গণপরিবহন সংকট ছিল। এ কারণে যথাসময়ে বিমানবন্দরে পৌঁছতে সমস্যা হচ্ছিল বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীদের। এতে ফ্লাইট শিডিউলও বিঘ্নিত হয়। বাতিল হয়েছে বেশ কয়েকটি বিদেশি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট। বিমানবন্দরে চরম ভোগান্তির শিকার হন অনেক যাত্রী। তবে গণপরিবহন চালু হওয়ায় সেই সংকট কেটে গেছে।
কারফিউ চলাকালে বিমানবন্দরে আসা যাওয়ার পথে বিদেশগামী যাত্রী এবং বিদেশ ফেরত যাত্রীদের বিমানের টিকিটকে কারফিউ পাস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এরপরও যাত্রীদের মধ্যে শঙ্কা কাজ করছিল। তবে কারফিউ শিথিল করার ফলে তাদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
বিমানবন্দর সূত্র জানিয়েছে, আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত তিনটি এয়ারলাইনসের আন্তর্জাতিক রুটে ১৭টি ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় বিপাকে পড়েন যাত্রীরা। বিশেষ করে ১৯ ও ২০ জুলাই সৌদিয়া এয়ার লাইনসের সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়। এ সময় চারটি ফ্লাইটে যাত্রী ছিলেন ৪ হাজার ২০০ জন। তাদের অনেকেই বিমানবন্দরে অপেক্ষা করেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) বোসরা ইসলাম জানান, সঠিক সময়ে বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাচ্ছে বিমানের সব ফ্লাইট।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম জানান, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সঠিক সময় যাত্রীরা বিমানবন্দরে পৌঁছতে পারায় শিডিউল অনুযায়ী ছেড়ে যাচ্ছে সব ফ্লাইট।