নুসানতারা, ইন্দোনেশিয়া: সংক্ষেপে আইকেএন নামে পরিচিত ইন্দোনেশিয়ার নতুন রাজধানী নুসানতারায় পরিবহন ব্যবস্থায় সর্বশেষ প্রযুক্তির ব্যবহারে প্রাধান্য দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ, এর অন্যতম হলো ফ্লাইং ট্যাক্সি।
সম্প্রতি পরীক্ষামূলক এ উড়ন্ত যান চালিয়ে দেখেছে দক্ষিণ কোরিয়ার অটোমেকার হুন্দাই মোটর। এ অপশনালি পাইলটেড পারসোনাল/প্যাসেঞ্জার এয়ার ভেহিকল (ওপিপিএভি) ৫০-৮০ মিটার উচ্চতায় প্রতি ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে। এতে পাইলটসহ চার আরোহীর আসন রয়েছে। বৈদ্যুতিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও বর্তমানে পাইলটই এটি পরিচালনা করবেন। যানটি ৬১-৬২ ডেসিবেল শব্দ তৈরি করে, যা প্রচলিত ধাঁচের হেলিকপ্টারের চেয়ে ২০ ডেসিবেল কম।
হুন্দাইয়ের এয়ার মোবিলিটি বিভাগের কর্মকর্তা চেওল-উং কিম জানান, কোম্পানিটি ২০২৮ সালের মধ্যে এ প্রযুক্তি বাণিজ্যিকীকরণ করতে চাইছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ইন্দোনেশিয়ার সরকার ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে একটি কৌশলগত অংশীদারত্বের মাধ্যমে কাজ করব।’ এছাড়া একই বাজারে সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে চীনা ড্রোনমেকার ইহ্যাংকে পেতে যাচ্ছে হুন্দাই। গত ডিসেম্বরে কোম্পানিটি ফ্লাইং ট্যাক্সির প্রটোটাইপ পরীক্ষা করেছে। বর্তমানে প্রকল্পটি মূল্যায়নের পর্যায়ে রয়েছে ও বাস্তবায়নের জন্য সম্ভাব্য অংশীদার খোঁজা হচ্ছে।
এদিকে নতুন রাজধানীতে অটোনোমাস রেল ট্রানজিট (এআরটি) ব্যবস্থার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ প্রযুক্তিতে ট্র্যাক ছাড়াই সেন্সর ও রাবারের চাকা ব্যবহার করে চলবে ট্রেন। আইকেএন প্রকল্পে ইন্দোনেশিয়া সরকারের বাজেট ২ হাজার ৮৪০ কোটি ডলার। এখন পর্যন্ত সড়ক ও বিমানবন্দরের মতো মৌলিক অবকাঠামোর জন্য ৪৪০ কোটি ডলার খরচ হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ১৭ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে রাজধানী হিসেবে কার্যক্রম শুরু করবে নুসানতারা।