বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) ৬ কর্মকর্তাকে ‘দুর্নীতিবাজ-দানব’ উল্লেখ করে তাদের তাৎক্ষণিক চাকরিচ্যুত করার দাবি জানিয়েছেন সাধারণ কর্মচারীরা।
রোববার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর কুর্মিটোলা বেবিচক কার্যালয়ে সকাল থেকে কর্মচারীরা তাদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন।
বেবিচকের ওই ৬ কর্তা হলেন— বেবিচকের নিরাপত্তা বিভাগের উপ-পরিচালক রাশিদা সুলতানা, ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশন্স বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. ওয়াহিদুজ্জামান, ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশন্স বিভাগের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন, ভাণ্ডার শাখার সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান, ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশন্স বিভাগের সহকারী পরিচালক আনন্দ মন্ডল, প্রশাসন বিভাগের উপ-পরিচালক সোহেল কামরুজ্জামান।
বিক্ষুব্ধ সাধারণ কর্মচারীদের একজন ঢাকা পোস্টকে বলেন, তারা খুনি হাসিনা রেজিমের দোসর। তারা গত ১৫ বছর আওয়ামী সরকারের আমলে বেবিচকের কর্মকর্তাদের ওপর অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তার করেছেন। দুর্নীতির মাধ্যমে দানবে পরিণত হয়েছেন তারা। আমরা অনতিবিলম্বে তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি চাই।
জাহাঙ্গীর আলম নামে এক কর্মচারী ঢাকা পোস্টকে বলেন, এই কর্মকর্তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে বদলি বাণিজ্য করেছেন। যাকে যেখানে খুশি বদলি করেছেন, প্রোমোশন আটকে রেখেছেন, বিদেশে যেতে বাধা দিয়েছেন, তাদের কথামতো কাজ না করলেই বিএনপি-জামায়াতসহ দলীয় ট্যাগ দিয়ে অফিসিয়াল প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করতেন। কর্মকর্তাদের অনেকেই আবাসন সুবিধা পাওয়ার যোগ্য হলেও তাদেরকে তা দেননি তারা। আমরা তাদের চাকরিচ্যুত করার দাবি জানাই।
জসীম নামে আরেক কর্মচারী বলেন, এই কর্মকর্তারা বেবিচকের নানা টেন্ডারবাজির সঙ্গেও জড়িত। তারা অনেকের বিরুদ্ধে ডিজিএফআই এবং এনএসআইয়ের কাছে তথ্য দিয়ে প্রোমোশন আটকানোর কাজ করতেন। তাদের নানা কাজে মদদ দিতেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মোকাম্মেল হোসেন। আমরা তার বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।