ঢাকাঃ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সব দুর্নীতি নির্মূল করার ঘোষণা দিয়েছেন বিমান পরিচালনা পর্ষদের নতুন চেয়ারম্যান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে আমি দিতে এসেছি, কিছু নিতে আসিনি।’
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বলাকা ভবনের কনফারেন্স রুমে বিমানের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বিমান পরিচালনা পর্ষদের নতুন এই চেয়ারম্যান।
আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, ‘আমি আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করি না। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সার্বিক কার্যক্রম ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইওর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। দ্রুতই একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইওকে নিয়োগ প্রদান করা হবে।’
তিনি উপস্থিত বিমান কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বলেন, ‘আপনারা যদি আমাকে চান, তাহলে আমার কথা শুনতে হবে। কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা যাবে না।’
মুয়ীদ চৌধুরী তার কর্মকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য অর্জনের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, তার সময়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস একটি লাভজনক এয়ারলাইনস ছিল। তিনি বিমানের সব সিদ্ধান্ত ব্যবসায়িক বিবেচনায় গ্রহণ করেছিলেন। কখনো কোনো অন্যায় আবদার বা প্রভাবের কাছে মাথানত করেননি।
তিনি আরও বলেন যে, আমি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের আর্থিক সক্ষমতার অবস্থা পর্যালোচনা করে আমাদের সাধ্যের মধ্যে যেসব বিষয় বাস্তবায়ন করা সম্ভব সেগুলো বাস্তবায়ন করবো। ধাপে ধাপে অন্যান্য বিষয়ের বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি আরও জানান যে, বিমান পরিচালনা পর্ষদকে সংস্কার করে পুনর্গঠন করা হবে। গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, মতিঝিলে বিমানের জন্য হাইরাইজ ভবন নির্মাণ, ফার্মগেটে হাইরাইজ ভবন নির্মাণ, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল বৃদ্ধি করা, বিমান রক্ষণাবেক্ষণের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, এয়ারপোর্টে যাত্রীদের সেবার মান বৃদ্ধি করা এসব বিষয়ে কাজ করতে চান তিনি।
বিমান পরিচালনা পর্ষদের নতুন চেয়ারম্যান বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে যাত্রীসেবার মানোন্নয়নে একযোগে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে এয়ারপোর্টে এবং ইন-ফ্লাইটে কোনো যাত্রী যেন হয়রানির শিকার না হয়। বিমানের টিকিট যেন সর্বসাধারণের কাছে সহজলভ্য হয়।