হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের সব বিমানবন্দরের ব্যাগেজ ব্যবস্থাপনায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. সাফিকুর রহমান।
আজ (বুধবার) দুপুরে বিমানের বলাকা কার্যালয়ে এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (এটিজেএফবি) কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যাগেজ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা ব্যাগেজ ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত করার চেষ্টা করছি। ব্যাগেজের বিষয়ে কোনো অভিযোগ এলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে আমলে নিয়ে কাজ করি। তবে আমাদের অবকাঠামোগত কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আশা করি তৃতীয় টার্মিনালের অপারেশন শুরু হলে ব্যাগেজ ব্যবস্থাপনা আরও ভালো হবে।
তিনি আরও বলেন, ব্যাগেজ ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া স্বচ্ছ রাখতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিমানকর্মীদের বডিওর্ন ক্যামেরা থাকে। ব্যাগেজ হ্যান্ডেলিংয়ের ডিউটিতে প্রবেশে সময় তারা ক্যামেরা লাগায়। ডিউটি শেষে ফেরার সময় তারা ক্যামেরা ফেরত দেয়। নজরদারি বাড়াতে নতুন আরও ১৫০টি ক্যামেরা কেনা হয়েছে।
বিমানের হজ ফ্লাইটের প্রস্তুতির বিষয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে বিমানের বহরে যতগুলো এয়ারক্রাফট রয়েছে, তা নিয়ে নির্বিঘ্নে শিডিউল ফ্লাইট পরিচালনা করা যাচ্ছে। তবে হজ মৌসুমে এয়ারক্রাফটের চাহিদা বেশি থাকবে। সেক্ষেত্রে ২/১টি রুটের ফ্লাইট সংখ্যা কমিয়ে সেই এয়ারক্রাফটগুলো দিয়ে হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। আমরা আশা করছি বরাবরের মতো এবারও হাজিরা নির্বিঘ্নে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে চড়ে পবিত্র হজ পালন করবেন।
বিমানের ফ্লাইট ডিলে শূন্যের কোটায় আনা, ক্রুসহ কর্মীদের আচার-ব্যবহার আরও নমনীয় করতে ও বিমানকে আরও যাত্রীবান্ধব করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান বিমানের এমডি ও সিইও।