বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে একত্রে কাজ করতে চায় যুক্তরাজ্য। গতকাল সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রতিমন্ত্রী অ্যানি ম্যারি ট্রেভেলেইনের সঙ্গে বৈঠকের পর গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের এভিয়েশন সিকিউরিটি নিয়ে প্রশিক্ষণের বিষয়ে কথা হয়েছে। এই প্রশিক্ষণের সঙ্গে বিনিয়োগও হতে পারে, যুক্ত হতে পারে আধুনিক যন্ত্রপাতি। তবে ভবিষ্যতে এভিয়েশন খাতে কীভাবে বিনিয়োগ করবে, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সিকিউরিটি, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং নিয়েও কথা হয়েছে। এসব খাতে তাদের বিনিয়োগের সম্ভাবনা আছে। তারা জানে, ঢাকা ছাড়াও সিলেট ও কক্সবাজারে আমাদের দুটি বিমানবন্দরে উন্নয়ন কাজ চলমান। সৈয়দপুরে একটি বিমান হাব তৈরির চেষ্টা করছি।
সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে অ্যানি ম্যারি ট্রেভেলেইন বলেন, যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশের সম্পর্ক ও অংশীদারত্ব নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। সিভিল এভিয়েশন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের নিরাপত্তা বিষয়ক অংশীদারত্ব রয়েছে। আমরা এভিয়েশন খাতে দুই দেশের সম্পর্ক কীভাবে আরও এগিয়ে নেওয়া যায়, তা আলোচনা করেছি।
যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ২০২৬ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে। সেক্ষেত্রে এভিয়েশন শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে এভিয়েশন শিল্পের নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের দক্ষতা শেয়ার করতে চাই।
প্রতিমন্ত্রী অ্যানি ম্যারি ট্রেভেলেইন দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন। গতকাল হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রতিমন্ত্রীকে স্বাগত জানান উত্তর আমেরিকা এবং পশ্চিম ইউরোপ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম।