বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা গ্রহণ করে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন সংস্থার সেবা জনগণের কাছে সহজে পৌঁছে দিতে হবে। দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে দক্ষতার সাথে কাজ নিষ্পন্ন করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে আন্তরিকতা ও সততার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে সরকারের কর্ম সম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আওতায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অধীন দপ্তর/সংস্থার ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সরকারি কাজে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, গতিশীলতা বৃদ্ধি এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে প্রত্যেকটি দপ্তর/সংস্থা চুক্তিতে উল্লিখিত কাজ গুণগত মান বজায় রেখে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পাদনের ক্ষেত্রে সরকারের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমি আশা করব প্রতিটি দপ্তর এই প্রতিশ্রুতি পালনে আন্তরিকতা ও সততার সঙ্গে কাজ করবে।ফারুক খান বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে সারা বছর এই চুক্তিতে উল্লিখিত কাজ কতটা সম্পাদিত হলো তা কঠোরভাবে মনিটর করা হবে। সময়ে সময়ে অগ্রগতি পর্যালোচনা সাপেক্ষে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে তাগিদ প্রদান করা হবে। তারপরও যারা সঠিকভাবে ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিক, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার কমডোর সাদিকুর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম ভূঞা এবং বাংলাদেশ সার্ভিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান নিজ নিজ সংস্থার পক্ষে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেনের সঙ্গে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর করেন।