বাংলাদেশে ফ্লাইট চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনস ও এয়ার চায়না। বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চূড়ান্ত অনুমোদন পেলেই আগামী মে মাস থেকে ফ্লাইট শুরু করবে এয়ারলাইনস দুটি। শাহজালাল বিমানবন্দরে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবা দিতে এরই মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকেও প্রস্তুতি নিতে বলেছে বেবিচক।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, ঢাকায় ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি চেয়েছে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনস ও এয়ার চায়না। আগামী মাস থেকেই এয়ারলাইনস দুটি যাতে ঢাকায় ফ্লাইট শুরু করতে পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। পাশাপাশি গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবা দিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনস বর্তমানে ঢাকা থেকে অফলাইনে তিনটি সাপ্তাহিক নন-শিডিউল কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা করছে। আগামী মাস থেকে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনস আদ্দিস আবাবা এবং ঢাকার মধ্যে যাত্রীবাহী ফ্লাইট শুরু করার প্রস্তুতি নিয়েছে। এ ছাড়া ভবিষ্যতে সরাসরি কার্গো ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে। ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনস ১৪৭টি উড়োজাহাজের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যাত্রী বহন, বহরের আকার এবং আয়ের দিক থেকে এটি আফ্রিকার বৃহত্তম এয়ারলাইনস। এটি বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম এয়ারলাইন হিসেবে স্থান পেয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনসের বাংলাদেশে এয়ারলাইনসের জেনারেল সেলস এজেন্ট (জিএসএ) প্রতিষ্ঠান রিদম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহাগ হোসেন বলেন, বেবিচকের অনুমতি সাপেক্ষে আগামী মাসের শেষের দিকে আদ্দিস আবাবা-ঢাকা-আদ্দিস আবাবা সরাসরি ফ্লাইট চালুর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ দিয়ে ঢাকার ফ্লাইটগুলো পরিচালিত হবে। প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে পাঁচটি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।

উল্লেখ্য, দুই দেশের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ধারাবাহিক আলোচনার পর গত বছর ৬ ডিসেম্বর সৌদি আরবের রিয়াদে ইথিওপিয়া ও বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এই এয়ার সার্ভিস চুক্তি সই করে।

এদিকে আগামী মে মাস থেকেই বাংলাদেশ থেকে চীনের বেইজিং রুটে প্রথমবারের মতো ফ্লাইট পরিচালনা করতে যাচ্ছে চীনের প্রধান ও পতাকা বহনকারী বিমান পরিবহন সংস্থা এয়ার চায়না। বাংলাদেশ থেকে মূলত ব্যবসায়ী এবং শিক্ষার্থীরাই নিয়মিতভাবে চীনে যাতায়াত করেন।

বেবিচক সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে এই রুটে সপ্তাহে ২টি ফ্লাইট পরিচালনা করবে এয়ার চায়না। বিমান ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টারকে (বিএফসিসি) ফ্লাইটে খাবার সরবরাহের বিষয়টি অবগত করেছে এয়ার চায়না।

বাংলাদেশ থেকে বর্তমানে গুয়াঞ্জু রুটে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস এবং ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস। পাশাপাশি চীনের চায়না ইস্টার্ন ও চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইনস বাংলাদেশিদের চীনে নিয়ে যাচ্ছে।